বি.এন.ই ইন্টেলিনিউজের প্রধান সম্পাদক বেন আরিসের মতে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ২০২৫ সালের ২৮শে ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাৎ করার পরিকল্পনা করেছিলেন, যেখানে তিনি কিছু ছাড় আদায় করতে চেয়েছিলেন। এই বৈঠকের লক্ষ্য ছিল চলমান ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ নিরসন এবং দুটি দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা।
আরিস জানান, জেলেনস্কির প্রশাসন এই বৈঠকটিকে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ইউক্রেনের স্বার্থ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ হিসেবে দেখছে। কি কি ছাড় চাওয়া হয়েছে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে এর মধ্যে থাকতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা সহায়তা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সাহায্য অথবা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে সংঘাত নিরসনের প্রচেষ্টায় সমর্থন। আরিস মন্তব্য করেন, "ইউক্রেনীয় পক্ষ নিঃসন্দেহে একটি বিস্তৃত আলোচ্যসূচি তৈরি করছে, যেখানে তারা অভিন্ন ক্ষেত্র খুঁজে বের করে তাদের দেশের জন্য বাস্তব সুবিধা নিশ্চিত করতে চাইছে।"
এই বৈঠকটি জটিল আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং পূর্ব ইউরোপের চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাশিয়াকে মোকাবিলা করতে এবং নিজেদের নিরাপত্তা জোরদার করতে ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে উল্লেখযোগ্য সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে, তবে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা ক্রমাগতভাবে আরও বেশি সহায়তার জন্য অনুরোধ করেছেন।
জেলেনস্কি এবং ট্রাম্পের মধ্যে সম্পর্ক নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল, কারণ ট্রাম্পের অতীতের ইউক্রেন বিষয়ক কার্যকলাপ অভিশংসন প্রক্রিয়ার সময় তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছিল। ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন নীতির যেকোনো পরিবর্তন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা এবং বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
বৈঠক শেষে, উভয় পক্ষ মূল আলোচনার বিষয় এবং যেকোনো চুক্তির বিষয়ে বিবৃতি দেবে বলে আশা করা হয়েছিল। বৈঠকের ফলাফল সম্ভবত ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে এবং পূর্ব ইউক্রেনের সংঘাতের গতিপথকে রূপ দেবে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment