ব্রেকিং: সার্নের লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার (এলএইচসি) পদার্থবিদ্যার একটি বড় ধাঁধার সমাধান করেছে। বিজ্ঞানীরা অবশেষে ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে ডিউটেরনের মতো ভঙ্গুর পদার্থ চরম পরিস্থিতিতে গঠিত হয়। ২০২৫ সালের ২৭শে ডিসেম্বর ঘোষিত এই আবিষ্কারটি একটি আশ্চর্যজনক প্রক্রিয়া প্রকাশ করে।
বহু বছর ধরে পদার্থবিজ্ঞানীরা বিভ্রান্ত ছিলেন। এলএইচসির অবিশ্বাস্যরকম উত্তপ্ত সংঘর্ষে কীভাবে সূক্ষ্ম নিউক্লিয়াসগুলো টিকে থাকতে পারে? সূর্যের কেন্দ্রের চেয়েও উত্তপ্ত এই সংঘর্ষগুলো খুবই হিংস্র মনে হয়েছিল। উত্তরটি হলো: ডিউটেরনগুলো টিকে থাকছে না; সেগুলো পরে জন্ম নিচ্ছে। সংঘর্ষের পরবর্তী ফায়ারবল ঠান্ডা হওয়ার সাথে সাথে অতি-সংক্ষিপ্ত-জীবনকালের কণাগুলো ক্ষয় হয়। এই ক্ষয় প্রোটন এবং নিউট্রন নির্গত করে, যা পরে একত্রিত হয়ে ডিউটেরন গঠন করে।
এই সাফল্যের তাৎক্ষণিক প্রভাব রয়েছে। এটি বেশিরভাগ পর্যবেক্ষিত ডিউটেরনের উৎস স্পষ্ট করে। এটি মহাজাগতিক রশ্মির সংকেতগুলো ডিকোড করার জন্য নতুন সরঞ্জাম সরবরাহ করে। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে এটি এমনকি ডার্ক ম্যাটার সম্পর্কে সূত্র সরবরাহ করতে পারে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভার কাছে অবস্থিত এলএইচসি বিশ্বের বৃহত্তম কণাaccelerator। এটি প্রায় আলোর গতিতে কণাগুলোকে একসাথে আঘাত করে। এই সংঘর্ষগুলো আদি মহাবিশ্বের অনুরূপ পরিস্থিতি তৈরি করে। এই পরিস্থিতিগুলো বোঝা পদার্থের মৌলিক ভিত্তিগুলো বোঝার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষকরা এখন পারমাণবিক গঠনের মডেলগুলো পরিমার্জন করতে এই জ্ঞান ব্যবহার করবেন। তারা অন্যান্য এলএইচসি পরীক্ষা থেকে ডেটা বিশ্লেষণ করার পরিকল্পনা করছেন। মহাবিশ্বের সবচেয়ে অধরা রহস্যগুলো আরও ভালোভাবে বোঝা তাদের লক্ষ্য।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment