গিনির জান্তা নেতা মামাদি ডুম্বুয়া আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। এই ঘটনা বিরোধীদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে, যারা তাকে ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ করছেন। গিনির সেনাবাহিনীর তৎকালীন কর্নেল ডুম্বুয়া ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে দীর্ঘদিনের নেতা আলফা কন্ডেকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন, এবং জনগণের ইচ্ছা পুনরুদ্ধারের কথা বলেন।
ডুম্বুয়া বেসামরিক শাসনের দিকে উত্তরণের জন্য ৩৬ মাসের সময়সীমা ঘোষণা করেছেন, যা ইকোওয়াস (ECOWAS)-এর পক্ষ থেকে দ্রুত গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের জন্য দেওয়া চাপের বিরোধিতা করে। তার এই পদক্ষেপ ব্যাপক প্রতিবাদ ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
সমালোচকদের যুক্তি হলো, ডুম্বুয়া রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর থেকে ক্ষমতা সুসংহত করার কারণে নির্বাচনে তার বিজয় কার্যত নিশ্চিত। বিরোধীরা দাবি করছে যে তার প্রার্থিতা পরিবর্তনের চেতনাকে লঙ্ঘন করে এবং একটি অবাধ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সম্ভাবনাকে দুর্বল করে।
অভ্যুত্থানের পর এক ভাষণে ডুম্বুয়া বলেছিলেন, "সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তির ইচ্ছাই সর্বদা আইনের স্থান দখল করে," এবং জোর দিয়ে বলেন যে সৈন্যরা জনগণের ইচ্ছা পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছে। এই বিবৃতিটিকে কেউ কেউ তার ক্ষমতা ধরে রাখার ন্যায্যতা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।
নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, গিনির রাজনৈতিক পরিস্থিতি ততই উত্তপ্ত হচ্ছে। বিরোধীরা ডুম্বুয়ার প্রার্থিতাকে চ্যালেঞ্জ করার অঙ্গীকার করেছে, যা সম্ভাব্য অস্থিরতা ও অরাজকতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সমস্ত পক্ষকে একটি শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment