ব্যাপকভাবে নিন্দিত একটি নির্বাচনের মাধ্যমে রবিবার মিয়ানমার ভোট দিতে যাচ্ছে। তবে জনগণের ভোট নয়, চীনের প্রভাবই আসল ক্ষমতা ধরে রেখেছে। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর এটিই প্রথম নির্বাচন।
চীনের গুরুত্বপূর্ণ সমর্থনে সামরিক বাহিনী বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে পুনরায় গতি অর্জন করেছে। তারা অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেছে এবং নির্বাচনের দিকে এগিয়ে গেছে। এটি সম্ভাব্য পতন থেকে ঘুরে দাঁড়ানো চিহ্নিত করে। বিশ্লেষকরা অভ্যুত্থানের পর পাঁচ বছরের সংঘাতে চীনের সমর্থন পরিবর্তনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। উত্তর শান রাজ্যের লাশিও টাউনশিপের একটি মিয়ানমার সামরিক ঘাঁটি থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র চলমান সংঘাতের ওপর জোর দেয়।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই নির্বাচনকে ব্যাপকভাবে প্রহসন হিসেবে নিন্দা জানায়। সমালোচকরা বলছেন, এটি সামরিক জান্তার শাসনকে বৈধতা দেয়। নির্বাচনের ফলাফল মিয়ানমারের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাবে এমন সম্ভাবনা কম।
২০২১ সালের অভ্যুত্থান মিয়ানমারকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে ফেলে দেয়। সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে, যার ফলে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু হয়। জান্তার প্রতি চীনের অব্যাহত সমর্থন বিরোধের একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নির্বাচনের পরবর্তী পরিস্থিতি অনিশ্চিত। আরও অস্থিরতা ও সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। মিয়ানমারের ভবিষ্যতে চীনের ভূমিকা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment