সিরিয়ার লাতাকিয়ায় একটি বিক্ষোভে সংঘর্ষে ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন। বিক্ষোভটি আলাউয়াইট সংখ্যালঘুদের দ্বারা সংগঠিত হয়েছিল, যারা উপকূলীয় এবং দেশের কেন্দ্রীয় অংশে বিক্ষোভ করছিলেন। হোমসে একটি মসজিদে বোমা হামলার দুই দিন পর এই বিক্ষোভটি হয়।
সংঘর্ষের সুনির্দিষ্ট প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত এখনো অস্পষ্ট, তবে প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানা যায় যে বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ দ্রুত বেড়ে যায়। সরাসরি গুলি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে, যদিও এটি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি। সিরিয়ার সরকার এখনো লাতাকিয়ার ঘটনা সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে হোমসে একটি মসজিদে বোমা হামলার কারণে বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। এই ঘটনাটি ওই অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, যা বহু বছর ধরে বিরাজ করছে। সুন্নি ও আলাউইট মিশ্র জনসংখ্যার শহর হোমস অতীতেও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। আলাউইটরা, শিয়া ইসলামের সাথে সম্পর্কিত একটি জাতি-ধর্মীয় গোষ্ঠী, যারা মূলত সিরিয়ার বর্তমান সরকারকে সমর্থন করে।
লাতাকিয়ার পরিস্থিতি এখনো উত্তেজনাপূর্ণ, নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং চলমান অস্থিরতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, লাতাকিয়ার ঘটনা ওই অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করতে পারে এবং সম্ভবত সংঘাতের আরও বড় ধরনের escalation ঘটাতে পারে। জাতিসংঘ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য সমস্ত পক্ষকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, বেশ কয়েকটি দেশ সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে এবং লাতাকিয়া ও হোমস উভয় ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়া চললে আরও আপডেটের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment