মিয়ানমারের নির্বাচন বর্তমানে বাংলাদেশে বসবাসকারী দশ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর পরিস্থিতি পরিবর্তন করবে এমন সম্ভাবনা কম। জাতিসংঘের মতে গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার কারণে এই শরণার্থীরা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিল। এদের বেশিরভাগই কক্সবাজার অঞ্চলে অবস্থিত।
২০২১ সালে মিয়ানমারে সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখলের পর থেকে রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা থমকে গেছে। আল জাজিরার তানভীর চৌধুরী কক্সবাজার থেকে শরণার্থীদের নির্বাচনের বিষয়ে মতামত জানিয়েছেন।
রোহিঙ্গারা, একটি রাষ্ট্রবিহীন জাতিগোষ্ঠী, যারা প্রধানত বৌদ্ধ রাষ্ট্র মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে নিপীড়ন ও বৈষম্যের শিকার। তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাগরিকত্ব এবং মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, যার ফলে ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭ সালে সামরিক অভিযানের পর বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ব্যাপক হারে আগমন শুরু হয়।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে এবং জবাবদিহিতা চেয়েছে। তবে, মিয়ানমারের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং প্রত্যাবর্তনের পর রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা জটিল হয়ে পড়েছে। শরণার্থীরা নিজেরাই বর্তমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া নিয়ে গভীর সংশয় প্রকাশ করেছেন।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত, সংকটের দ্রুত সমাধানের সম্ভাবনাও ক্ষীণ। মিয়ানমারের নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা হলেও, রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুতির মূল কারণগুলো এটি অবিলম্বে সমাধান করবে, এমনটা আশা করা যায় না।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment