একটি বহুল সমালোচিত নির্বাচনের প্রথম দিনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার সাথে সাথে মিয়ানমারের অর্থনীতি ক্রমাগত অনিশ্চয়তার সম্মুখীন। সামরিক সরকারের এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের শাসনকে বৈধ করার প্রচেষ্টা গৃহযুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে ঘটছে, যা বিদেশি বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে।
তিন দিনে কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে চলমান সংঘাতের কারণে সম্ভবত দেশের অর্ধেক মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এই অস্থিরতা ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে (এফডিআই) তীব্র হ্রাস ঘটিয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে দেখা যাচ্ছে যে সামরিক অভ্যুত্থানের অব্যবহিত পরে দুই অঙ্কের শতাংশ হ্রাসের পরে মিয়ানমারের জিডিপি আরও সংকুচিত হতে পারে। বিশ্বব্যাংক রাজনৈতিক অস্থিরতার মারাত্মক অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে বারবার সতর্ক করেছে, যা ক্রমাগত দারিদ্র্য এবং জীবনযাত্রার মান হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছে।
নির্বাচনে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী বা বিরোধিতাকারীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রেখে নতুন আইন প্রণয়ন করার কারণে ব্যবসার পরিবেশ আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। এর ফলে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে একটি ভীতিকর প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে। অনেক বিদেশি কোম্পানি ইতিমধ্যে নৈতিক উদ্বেগ এবং বর্তমান শাসনের অধীনে কার্যকরভাবে কাজ করতে না পারার কারণ দেখিয়ে তাদের কার্যক্রম প্রত্যাহার করেছে বা কমিয়ে দিয়েছে। পোশাক manufacturing-এর মতো খাত, যা একটি প্রধান রপ্তানি শিল্প, শ্রমিক সংকট এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের ব্যাঘাতের কারণে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সংস্কার এবং আঞ্চলিক বাণিজ্য নেটওয়ার্কের সাথে ক্রমবর্ধমান একীকরণের ফলে মিয়ানমারের অর্থনীতি পূর্বে প্রবৃদ্ধি অর্জন করছিল। তবে, অভ্যুত্থান এই অর্জনগুলিকে বিপরীত করে দিয়েছে, যার ফলে পুঁজি flight এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থার পতন হয়েছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য জান্তার চীনের উপর নির্ভরতা ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা এবং মিয়ানমারের অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্বের উপর সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সামনের দিকে তাকালে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এবং গণতান্ত্রিক শাসনের প্রত্যাবর্তনের আগে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষীণ। চলমান গৃহযুদ্ধ, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থার অভাব অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাধা অব্যাহত রাখবে। নির্বাচনের বৈধতা ব্যাপকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ, এবং এর ফলাফল মিয়ানমারের অন্তর্নিহিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো সমাধান করতে পারবে না।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment