বৃহস্পতিবার মিয়ানমারে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে, যা একটি নির্বাচনের প্রথম ধাপের সমাপ্তি চিহ্নিত করেছে। এই নির্বাচনকে একটি প্রহসন হিসেবে ব্যাপক নিন্দা করা হয়েছে, যা ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তাকে বৈধতা দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানে অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপ হিসেবে সামরিক বাহিনী এই নির্বাচনকে তুলে ধরলেও বিশ্লেষক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এর সমালোচনা করেছে।
জাতিসংঘ নির্বাচনী পরিবেশকে সহিংসতা ও দমন-পীড়নের একটি ক্ষেত্র হিসেবে বর্ণনা করেছে। একজন জাতিসংঘ কর্মকর্তা এই প্রক্রিয়াকে "হাস্যকর নাটক" হিসেবে অভিহিত করেছেন। সমালোচকদের মতে, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ প্রার্থীকেই সামরিক বাহিনীর মিত্র হিসেবে মনে করা হয়।
প্রায় পাঁচ বছর আগে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে, অং সান সু চিকে গ্রেপ্তার করে এবং একটি গৃহযুদ্ধ শুরু করে যা এখনও দেশকে জর্জরিত করছে। নির্বাচনটি তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যদিও পরবর্তী ধাপগুলোর নির্দিষ্ট তারিখ ব্যাপকভাবে জানানো হয়নি।
ভোটদানের হার কম দেখা গেছে এবং দেশের বৃহৎ অঞ্চল, বিশেষ করে চলমান সংঘাত কবলিত এলাকাগুলো ভোট থেকে বাদ পড়েছে। নির্বাচন কমিশন এখনও পর্যন্ত ভোটদানের আনুষ্ঠানিক সংখ্যা প্রকাশ করেনি।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই নির্বাচনকে ব্যাপকভাবে নিন্দা করেছে। পশ্চিমা সরকার ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিরোধী দল ও গণমাধ্যমের ওপর বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ করে এই প্রক্রিয়ার ন্যায্যতা ও বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সামরিক সরকার নির্বাচনকে দেশ স্থিতিশীল করতে এবং বেসামরিক শাসন পুনরুদ্ধারের জন্য একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে সমর্থন করেছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment