সিরিয়ার লাতাকিয়ায় একটি বিক্ষোভে সংঘর্ষে কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে, ২০২৫ সালের ২৮শে ডিসেম্বরের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে। বিক্ষোভটি আলাউয়াইট সংখ্যালঘুদের দ্বারা দেশের উপকূলীয় এবং কেন্দ্রীয় অংশে সংগঠিত হয়েছিল। এই অস্থিরতা দুই দিন আগে হোমসে একটি মসজিদে বোমা হামলার পরে শুরু হয়।
সহিংসতার দিকে পরিচালিত ঘটনার সঠিক ক্রম এখনো অস্পষ্ট। প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে উত্তেজনা দ্রুত বেড়েছে, যদিও সংঘর্ষের সূত্রপাতের নির্দিষ্ট কারণ এখনও তদন্তাধীন। প্রত্যক্ষদর্শীরা একটি বিশৃঙ্খল দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন এবং কে সহিংসতা শুরু করেছে সে সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোমস মসজিদে বোমা হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছিল, যা ইতিমধ্যেই অঞ্চলে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ যে আলাউয়াইট সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত, অতীতে তারা হামলার শিকার হয়েছে, যার ফলে নিরাপত্তা উদ্বেগ বেড়েছে এবং এর সদস্যদের মধ্যে দুর্বলতার অনুভূতি তৈরি হয়েছে। হোমসের বোমা হামলার প্রতিক্রিয়ার তীব্রতা বুঝতে এই প্রেক্ষাপটটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক সাহায্যকর্মী বলেছেন, "পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক"। "মানুষ ভীত ও ক্রুদ্ধ, এবং স্পষ্ট তথ্যের অভাব কেবল আগুনকে আরও উস্কে দিচ্ছে।" নিরাপত্তার কারণে তিনি নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি।
সিরিয়ার সরকার এখনও লাতাকিয়ার ঘটনা সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম হোমস বোমা হামলার খবর জানিয়েছে, তবে লাতাকিয়ার বিক্ষোভের বিস্তৃত কভারেজ দেয়নি। এই মিডিয়া ব্ল্যাকআউট বিরোধী দল এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে সমালোচিত হয়েছে, যারা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা দাবি করছেন।
লাতাকিয়ার ঘটনা সিরিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতির দুর্বলতা এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতা দ্রুত বাড়ার সম্ভাবনাকে তুলে ধরে। হোমসে বোমা হামলা, কোনো নির্দিষ্ট প্রযুক্তির সাথে সরাসরি সম্পর্কিত না হলেও, বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতিগত জনসংখ্যার এলাকায় নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে চলমান চ্যালেঞ্জগুলোকে তুলে ধরে। নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ অবকাঠামোর অভাব এবং সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভুল তথ্যের বিস্তার উত্তেজনা কমাতে এবং ভবিষ্যতে সহিংসতা প্রতিরোধে আরও জটিলতা সৃষ্টি করছে।
জাতিসংঘ অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে এবং সকল পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। সিরিয়ার জন্য জাতিসংঘের বিশেষ দূত সরকারের এবং বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সংলাপেরfacilitate করার জন্য কাজ করছেন বলে জানা গেছে, যাতে সংঘাতের অন্তর্নিহিত কারণগুলো সমাধান করা যায়। পরিস্থিতি এখনও পরিবর্তনশীল, এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment