বিশ্লেষকরা মনে করেন যে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের বেশিরভাগকেই সামরিক বাহিনীর মিত্র হিসাবে দেখা হয়। জাতিসংঘও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, নির্বাচনী পরিবেশকে সহিংসতা ও দমন-পীড়ন দ্বারা চিহ্নিত হিসাবে বর্ণনা করেছে। জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা এই প্রক্রিয়াটিকে "হাস্যকর নাটক" হিসাবে উল্লেখ করেছেন, যা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বারা অনুভূত বিশ্বাসের অভাবকে তুলে ধরে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে, অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে। এই অভ্যুত্থান ব্যাপক বিক্ষোভ এবং একটি গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত করে যা এখনও দেশকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে। সু চিকে অভ্যুত্থানের পর আটক করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ আনা হয়েছে যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে।
এই নির্বাচন তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ভোট পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে, দেশের বৃহৎ অঞ্চল, বিশেষ করে যেখানে সক্রিয় সংঘাত চলছে, সেগুলোকে প্রথম ধাপের ভোট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে কম ভোটার উপস্থিতির কথা বলা হয়েছে, যা এই প্রক্রিয়ার বৈধতাকে আরও দুর্বল করে দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই নির্বাচনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সমালোচকদের যুক্তি হলো, বিরোধী দলগুলোকে বাদ দেওয়া এবং ভিন্নমত দমন করার কারণে এই ভোট অবাধ বা সুষ্ঠু কোনোটিই নয়। আশা করা হচ্ছে যে নির্বাচনের ফলাফল মিয়ানমারের উপর সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণকে আরও সুসংহত করবে, যদিও বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের পক্ষ থেকে ক্রমাগত প্রতিরোধ চলছে। নির্বাচনের পরবর্তী ধাপগুলো আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে, যদিও জান্তা তাদের প্রবেশাধিকার মারাত্মকভাবে সীমিত করেছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment