মিয়ানমারে [DATE - context-এর উপর ভিত্তি করে তারিখ বসান] তারিখে একটি নির্বাচনের প্রথম ধাপের শেষে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এই নির্বাচনকে সামরিক জান্তার শাসনকে বৈধতা দেওয়ার উদ্দেশ্যে সাজানো একটি ধাপ্পাবাজি হিসেবে ব্যাপক নিন্দা করা হয়েছে। নির্বাচনটি তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সামরিক সরকার এই ভোটকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একটি পদক্ষেপ হিসেবে উপস্থাপন করেছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর। সেই সময় তিনি দেশটির কার্যত নেতা ছিলেন। এই অভ্যুত্থান একটি গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত করে।
সমালোচক ও বিশ্লেষকদের মতে, অধিকাংশ প্রার্থীই সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত। জাতিসংঘ এই নির্বাচনকে সহিংসতা ও দমন-পীড়নের পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে বর্ণনা করেছে। জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা এই প্রক্রিয়াটিকে "হাস্যকর নাটকের মঞ্চ" হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ভোটদানের হার কম বলে মনে হয়েছে এবং চলমান সংঘাতের কারণে বৃহৎ এলাকাগুলোতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়নি। নির্বাচন কমিশন এখনো পর্যন্ত ভোটদানের আনুষ্ঠানিক সংখ্যা প্রকাশ করেনি।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে, তারা আগের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। সেই নির্বাচনে অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ভূমিধস জয় পেয়েছিল। তবে সেই সময় আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা ব্যাপক জালিয়াতির কোনো প্রমাণ পাননি।
অং সান সু চি অভ্যুত্থানের পর থেকে আটক আছেন এবং বিভিন্ন অভিযোগে তাকে দীর্ঘ কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জান্তা এনএলডি পার্টিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে।
সামরিক বাহিনী কর্তৃক প্রণীত একটি নতুন সংবিধানের অধীনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সমালোচকদের মতে, নতুন সংবিধান সামরিক শক্তিকে আরও সুসংহত করে এবং বেসামরিক তদারকিকে সীমিত করে।
নির্বাচনের পরবর্তী ধাপগুলো আগামী কয়েক সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সমস্ত ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পরে ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment