টিকটক, বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়নের বেশি মাসিক ব্যবহারকারীর সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে বিতর্ক এবং নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ধারা এবং ব্যক্তিগত আখ্যান প্রচারে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করার পর থেকে এই প্ল্যাটফর্মটি বিশ্বজুড়ে নির্মাতাদের খেলাধুলার উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে শুরু করে হাস্যরসাত্মক ব্যাখ্যা এবং দৈনন্দিন জীবনের ঝলক সহ তাদের গল্প শেয়ার করার জন্য একটি স্থান সরবরাহ করে।
এনপিআর সম্প্রতি বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক টিকটক নির্মাতাকে তুলে ধরেছে, যা অ্যাপটিতে পাওয়া বিষয়বস্তুর বিস্তৃতি প্রদর্শন করে। তাদের মধ্যে একজন হলেন আর্থার মার্কেস, একজন ফুটবল খেলোয়াড় যিনি খেলাটিকে একটি অনন্য মোড়কে উপস্থাপন করেন। তানজানিয়ার ফানুয়েল জন মাসামাকি চার্লি চ্যাপলিনের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে নির্বাক চলচ্চিত্রের যুগের কথা মনে করিয়ে দেয় এমন হাস্যকৌতুক তৈরি করেন। গাজায়, হামাদা শাকৌরা, একজন ফিলিস্তিনি খাদ্য বিষয়ক প্রভাবশালী ব্যক্তি, মিশরীয় স্টাইলের চিংড়ি ফ্রাইয়ের মতো রেসিপি শেয়ার করেন, যা রন্ধনসম্পর্কিত ঐতিহ্যের স্বাদ সরবরাহ করে। ভ্যালেরি কেটার কেনিয়ার দক্ষিণের মাসাই জনগোষ্ঠীর ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করেন, তাদের ঐতিহ্যবাহী পুঁতির কলার এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরেন।
অ্যাপটির বিশ্বব্যাপী প্রসার ব্যক্তিদের তাদের immediate surroundings-এর বাইরের সংস্কৃতি এবং দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সংযোগ স্থাপন করতে দেয়। তবে, টিকটকের দ্রুত বৃদ্ধি নিরীক্ষণের জন্ম দিয়েছে। ভারত ২০২০ সালে জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করেছিল। অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকটক এবং অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা থেকে বিরত করেছে, যা তরুণ ব্যবহারকারীদের উপর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগকে প্রতিফলিত করে। এই পদক্ষেপগুলি প্ল্যাটফর্মটির প্রভাব এবং সামাজিক আলোচনাকে রূপদান করার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা নিয়ে চলমান বিতর্ককে তুলে ধরে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment