সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক-এ রবিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ফস্টিন-আর্চেঞ্জ টুয়াডেরা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রায় ২৩ লক্ষ নিবন্ধিত ভোটার এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্য ছিলেন, যেটিকে পর্যবেক্ষকরা একটি চতুর্মুখী নির্বাচন হিসেবে অভিহিত করেছেন, যেখানে রাষ্ট্রপতি, সংসদীয়, স্থানীয় এবং পৌর অফিসগুলির নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি পদের জন্য ব্যালটে সাতজন প্রার্থী ছিলেন, যার মধ্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অ্যানিসেট জর্জেস ডোলোগেলে এবং হেনরি-মারি ডোন্ড্রাও রয়েছেন। ডোলোগেলে এবং ডোন্ড্রা উভয়কেই প্রাথমিক অযোগ্যতা ঘোষণার পর সাংবিধানিক আদালত থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। ডোলোগেলে ২০১৫ এবং ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন, যেখানে ডোন্ড্রা অল্প সময়ের জন্য টুয়াডেরার অধীনে কাজ করেছিলেন।
বিরোধী দল দেশের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের কারণে জনগণের মধ্যে যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে, তাকে কাজে লাগাতে চাইছে। আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক বহু বছর ধরে অস্থিরতা ও সহিংসতার সঙ্গে লড়াই করছে।
এই নির্বাচনটি ক্রমাগত নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ এবং অর্থনৈতিক কষ্টের প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। টুয়াডেরার সরকার ওয়াগনার গ্রুপ থেকে আসা রাশিয়ান নিরাপত্তা ঠিকাদারদের উপর নির্ভর করার জন্য সমালোচিত হয়েছে, যাদের উপস্থিতি আন্তর্জাতিক নজরদারি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের জন্ম দিয়েছে। সরকার মনে করে যে এই ঠিকাদাররা স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অপরিহার্য।
নির্বাচনের ফলাফল আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই নির্বাচনের ফলাফল সম্ভবত সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং এর অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রচেষ্টাকে রূপ দেবে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment