সোমবার তাইওয়ানকে ঘিরে সরাসরি গুলি চালানোর মহড়া শুরু করেছে চীন। পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) বিমান, নৌ ও রকেট সেনা মোতায়েন করেছে। সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এই মহড়ায় যুদ্ধের প্রস্তুতি পরীক্ষা করা হয়েছে। এটি বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি এবং বাইরের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে "কঠোর সতর্কবার্তা" হিসাবেও কাজ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তাইওয়ানের কাছে সম্প্রতি ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি সহ ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রতিক্রিয়ায় এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি জাপানি সামরিক বাহিনীর সম্ভাব্য জড়িত থাকার ইঙ্গিতও দিয়েছেন। তাইওয়ান সৈন্য ও সরঞ্জামাদি একত্রিত করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিহত করার অনুশীলন করেছে।
তাইওয়ান এই মহড়াকে উস্কানিমূলক বলে নিন্দা করেছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এই মহড়া আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
চীন তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসাবে দেখে। এটি দীর্ঘদিন ধরে প্রয়োজনে শক্তি ব্যবহার করে দ্বীপটিকে একত্রিত করার অধিকারের কথা বলে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র "কৌশলগত অস্পষ্টতার" নীতি বজায় রেখেছে। এর অর্থ হল তাইওয়ানকে রক্ষা করতে সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করবে কিনা, তা দেশটি নিশ্চিত বা অস্বীকার করে না।
আরও সামরিক মহড়া এবং কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছে। পরিস্থিতি এখনও পরিবর্তনশীল এবং সম্ভাব্য বিপজ্জনক।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment