প্রায় ২ লক্ষ তরুণ ব্রিটিশ নাগরিকের দেশত্যাগ বিশ্বব্যাপী মেধা পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনছে। জুন মাস পর্যন্ত পূর্ববর্তী বছরে ৩৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ২ লক্ষ মানুষ বিদেশে গিয়েছেন। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স (ONS) দ্বারা পরিমাপকৃত এই অভিবাসন (১৯৫,০০০) যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যা এবং অর্থনৈতিক গতিশীলতার একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নির্দেশ করে।
ব্রিটেনে তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মুখোমুখি হওয়া আর্থিক চাপগুলোই সম্ভবত এর প্রধান কারণ। ক্রমবর্ধমান ভাড়া, একটি প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজার এবং স্থবির বেতন বৃদ্ধি ব্যক্তিদের অন্যত্র সুযোগ খুঁজতে বাধ্য করছে। এই কারণগুলো এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করছে যেখানে যুক্তরাজ্যে থাকার জন্য বিনিয়োগের প্রত্যাশিত প্রতিদান হ্রাস পাচ্ছে, যার ফলে অনেকে বিদেশে বিকল্প কর্মজীবন এবং জীবনধারা অন্বেষণ করছে।
মেধার এই বহির্গমনের কারণে যুক্তরাজ্যের বাজারের উপর বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য প্রভাব পড়তে পারে। প্রথমত, এটি মূল খাতগুলোতে বিদ্যমান দক্ষতা সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সম্ভাব্যভাবে বাধাগ্রস্ত করবে। দ্বিতীয়ত, এটি ভবিষ্যতের কর রাজস্ব এবং উদ্যোক্তা হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে। তৃতীয়ত, এটি অভ্যন্তরীণ ভোগ কমিয়ে দিতে পারে, কারণ তরুণরা তাদের উপার্জিত অর্থ অন্য অর্থনীতিতে ব্যয় করে।
এই প্রবণতা বৈশ্বিক শ্রম বাজারের ক্রমবর্ধমান আন্তঃসংযুক্ততাকেও তুলে ধরে, যা দূরবর্তী কাজের প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং আন্তর্জাতিক যোগ্যতার ক্রমবর্ধমান গ্রহণযোগ্যতা দ্বারা সহজতর হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, রে আমজাদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, জাপানের মতো দেশগুলো সক্রিয়ভাবে লক্ষ্যযুক্ত ভিসা প্রোগ্রামের মাধ্যমে এবং উন্নত জীবনযাত্রার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণ, দক্ষ কর্মীদের আকৃষ্ট করছে। মেধার জন্য এই প্রতিযোগিতা তীব্র হচ্ছে, যা দেশগুলোকে তরুণ পেশাদারদের আকর্ষণ এবং ধরে রাখার জন্য তাদের নীতি ও কৌশলগুলো পুনরায় মূল্যায়ন করতে বাধ্য করছে।
ভবিষ্যতে, এই যুব অভিবাসনের দীর্ঘমেয়াদী পরিণতি অনিশ্চিত রয়ে গেছে। কেউ কেউ হয়তো মূল্যবান আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ফিরে আসতে পারে, তবে অন্যরা বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করতে পারে। যুক্তরাজ্য সরকার এবং ব্যবসাগুলোকে এই প্রবণতার পেছনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কারণগুলো মোকাবিলা করতে হবে, যাতে দেশটি তরুণদের বসবাস এবং কাজের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে থাকে। এর মধ্যে আবাসন সহজলভ্যতা বৃদ্ধি, চাকরির সম্ভাবনা উন্নত করা এবং আরও প্রতিযোগিতামূলক বেতন পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে প্রণীত নীতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment