কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আগামী বছরগুলোতে ক্রমাগত উন্নতির দিকে ধাবিত হবে, যেখানে নতুন মডেল, প্রকাশনা এবং পেটেন্টের প্রত্যাশা রয়েছে, সেইসাথে বিশ্বব্যাপী এআই-সম্পর্কিত আইনের ঢেউ উঠবে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইনডেক্স রিপোর্ট ২০২৫ অনুসারে, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে ৩০টি এআই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, যার পরে ২০২৪ সালে আরও ৪০টি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, ইউরোপ এবং আমেরিকার কিছু রাজ্য গত দুই বছরে এআই আইন প্রণয়নে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল। শুধুমাত্র আমেরিকার রাজ্যগুলোতেই ২০২৪ সালে এআই সম্পর্কিত ৮২টি বিল পাশ হয়েছে। তবে, তুলনামূলকভাবে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে এই ক্ষেত্রে খুব কম তৎপরতা দেখা গেছে, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারও এক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে।
বিশেষজ্ঞরা এআই প্রযুক্তি নিরাপদ এবং স্বচ্ছ করার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন। চলমান আলোচনা সম্পর্কে অবগত সূত্রগুলোর মতে, এই লক্ষ্য অর্জনে সহযোগী প্রচেষ্টা থেকে দূরে থাকার খুব কমই সুবিধা আছে, বরং ক্ষতিই বেশি। এআই-এর দ্রুত বিকাশের জন্য প্রবিধান এবং সুরক্ষা মানগুলির ক্ষেত্রে একটি সক্রিয় পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
এআই আইনের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা প্রযুক্তিটির সাথে সম্পর্কিত সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং সুবিধা সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান সচেতনতার প্রতিফলন ঘটায়। এই আইনগুলো প্রায়শই ডেটা গোপনীয়তা, অ্যালগরিদমিক পক্ষপাত এবং স্বাস্থ্যসেবা ও финан্সের মতো সংবেদনশীল অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে এআই ব্যবহারের মতো বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করে। এর লক্ষ্য হলো সম্ভাব্য ক্ষতি কমিয়ে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা।
সামনে তাকিয়ে, ২০২৬ সাল এআই সুরক্ষা নিয়ে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর হতে পারে। আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং সরকারগুলি সাধারণ কাঠামো এবং মান তৈরি করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে। মানবজাতির কল্যাণে একটি দায়িত্বশীল এবং নৈতিক এআই ইকোসিস্টেম তৈরি করার দিকে মনোযোগ দেওয়া হবে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment