রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ব্যালটে সাতজন প্রার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অ্যানিসেট জর্জেস ডোলো গেলে এবং হেনরি-মারি ডোন্ড্রা, যাদের উভয়কেই প্রাথমিক অযোগ্যতা ঘোষণার পর সাংবিধানিক আদালত থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ডোলো গেলে ২০১৫ এবং ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন, যেখানে ডোন্ড্রা কিছু সময়ের জন্য টুয়াডেরার অধীনে কাজ করেছিলেন।
বিরোধী দল দেশের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের ফলে জনগণের অসন্তোষকে পুঁজি করতে চেয়েছিল। আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও দেশের উল্লেখযোগ্য অংশ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় ক্রমাগত অস্থিরতার মধ্যে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
টুয়াডেরা, যিনি ২০১৬ সালে প্রথম নির্বাচিত হয়েছিলেন, ওয়াগনার গ্রুপ থেকে আসা রাশিয়ান নিরাপত্তা ঠিকাদারদের উপর নির্ভর করার জন্য সমালোচিত হয়েছেন, যাদের উপস্থিতি মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে তোলার সাথে যুক্ত। তবে তার সমর্থকরা তাকে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার কৃতিত্ব দেন।
সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের সাংবিধানিক আদালত সম্প্রতি রায় দিয়েছে যে টুয়াডেরা তৃতীয় মেয়াদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন, যদিও সংবিধানে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ স্পষ্টতই দুটিতে সীমাবদ্ধ। আদালত যুক্তি দেখিয়েছে যে ২০২৩ সালে প্রণীত সাংবিধানিক পরিবর্তনগুলি ঘড়ির কাঁটাকে পুনরায় শুরু করেছে, যা বিরোধীরা বিরোধিতা করেছে।
আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যদিও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফলাফল আরও অস্থিরতার দিকে পরিচালিত করতে পারে। জাতিসংঘ দেশে MINUSCA নামে একটি শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনা করছে এবং নির্বাচন চলাকালীন এবং পরে নিরাপত্তা বজায় রাখতে এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment