বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোতে বোর্ড সদস্যদের পারিশ্রমিক নিয়ে বিতর্ক আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, যা ক্রমবর্ধমান জটিল পরিচালনা পরিস্থিতিতে পরিচালকদের বেতন কাঠামোর যথার্থতা নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কর্পোরেট গভর্ন্যান্স বিশেষজ্ঞদের মতে, মূল প্রশ্নটি কেবল পারিশ্রমিক বেশি কিনা তা নয়, বরং বর্তমান কাঠামো বোর্ড পরিষেবার সাথে জড়িত ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং ঝুঁকিগুলো সঠিকভাবে প্রতিফলিত করে কিনা।
বহু বছর ধরে, বোর্ড পরিষেবাকে পরোপকারের একটি রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হতো, যেখানে পরিচালকরা "ফিরিয়ে দেন" এবং পারিশ্রমিক একটি গৌণ বিষয় ছিল। তবে, এই ধারণাটি আর বাস্তবতার সাথে নাও মিলতে পারে, কারণ স্বতন্ত্র পরিচালকদের ভূমিকা পরিবর্তিত হয়েছে, যার কারণে তাদের সময়, বিচারবুদ্ধি এবং খ্যাতি দিয়ে ঝুঁকি নিতে হয়।
বোর্ডের কাজের চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, এখন সাইবার এবং এআই ঝুঁকি, ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব, নিয়ন্ত্রক অস্থিরতা, অ্যাক্টিভিস্টদের প্রস্তুতি এবং নির্বাহী পদে উত্তরসূরি নির্বাচন সহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত। এই বর্ধিত দায়িত্ব পালনের জন্য পরিচালকদের কাছ থেকে আরও বেশি সময় এবং তীক্ষ্ণ বিচারবুদ্ধি প্রয়োজন।
উপরন্তু, পরিচালকরা ক্রমবর্ধমান পর্যবেক্ষণ এবং জবাবদিহিতার যুগে খ্যাতি হারানোর ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন। তাদের সিদ্ধান্ত এবং তদারকি সরাসরি কোম্পানির কর্মক্ষমতা এবং খ্যাতির উপর প্রভাব ফেলে, যা বোর্ড পরিষেবাকে অতীতের চেয়ে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে বোর্ড পরিষেবার সাথে জড়িত ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং ঝুঁকিগুলো প্রতিফলিত করার জন্য পারিশ্রমিক কাঠামো পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এর মধ্যে বেতন স্কেল সমন্বয় করা, কর্মক্ষমতা-ভিত্তিক প্রণোদনা বাস্তবায়ন করা বা পরিচালকদের অতিরিক্ত সম্পদ এবং সহায়তা প্রদান করা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। লক্ষ্য হল বোর্ডের পারিশ্রমিক শুধুমাত্র ন্যায্য নয়, বরং এমন যোগ্য ব্যক্তিদের আকর্ষণ ও ধরে রাখা, যারা আধুনিক কর্পোরেট শাসনের চ্যালেঞ্জগুলো কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে পারে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment