এমআইটি বিজ্ঞানীরা বার্ধক্যজনিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করার একটি যুগান্তকারী পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। ম্যাসাচুসেটস-ভিত্তিক দলটি ২০২৫ সালের ২৯শে ডিসেম্বর ঘোষণা করেছে যে তারা লিভারকে একটি অস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী কেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে সফলভাবে mRNA প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। এই উদ্ভাবনী পদ্ধতিটি কার্যকরভাবে বয়স্ক ইঁদুরের টি-সেল উৎপাদন পুনরুদ্ধার করেছে, যা একটি অল্প বয়স্ক থাইমাসের কার্যকলাপের অনুরূপ।
গবেষণায় লিভারে নির্দিষ্ট mRNA সিকোয়েন্স সরবরাহ করা হয়েছে, যা এটিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী সংকেত তৈরি করতে উৎসাহিত করে। চিকিৎসাকৃত ইঁদুরগুলিতে উন্নত টি-সেল কার্যকলাপ এবং ভ্যাকসিন ও ক্যান্সার থেরাপি উভয়ের প্রতি উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ফলাফলগুলি বয়স-সম্পর্কিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি সম্ভাব্য পথের ইঙ্গিত দেয়।
এই আবিষ্কার জেরিয়াট্রিক মেডিসিনে বিপ্লব ঘটাতে পারে এবং ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বয়স-সম্পর্কিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঘাটতি লক্ষ্য করে mRNA-ভিত্তিক থেরাপিউটিকসের দ্রুত বিকাশের পূর্বাভাস দিয়েছেন। বায়োটেক সংস্থাগুলির প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত ইতিবাচক হয়েছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি এই প্রযুক্তি লাইসেন্স করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে টি-সেল উৎপাদনের জন্য দায়ী থাইমাস গ্রন্থি ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হয়ে যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। এই দুর্বলতার কারণে বয়স্ক ব্যক্তিরা সংক্রমণ এবং ভ্যাকসিনের প্রতি কম সংবেদনশীল হয়ে পড়েন। এমআইটি গবেষণা এই পুরানো সমস্যার একটি সম্ভাব্য সমাধান দেয়।
গবেষকরা এখন এই mRNA-ভিত্তিক পদ্ধতির নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা মূল্যায়ন করার জন্য মানুষের উপর পরীক্ষা নিরীক্ষার দিকে মনোনিবেশ করছেন। দলটি আশা করছে যে এই প্রযুক্তি শেষ পর্যন্ত নতুন চিকিৎসাপদ্ধতির জন্ম দেবে যা সুস্থ জীবনকালকে প্রসারিত করবে এবং বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment