মঙ্গলবার তাইওয়ানের কাছে দূরপাল্লার রকেট নিক্ষেপ করে চীন, যা সামরিক মহড়ার তীব্রতা বৃদ্ধি করে। পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) দ্বীপটিকে আঘাত ও বিচ্ছিন্ন করার ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। এই পদক্ষেপটি এই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধির ফলস্বরূপ।
চীনা আর্টিলারি ইউনিট তাইওয়ানের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমের জলে ২৭টি রকেট নিক্ষেপ করেছে। চীন পূর্বে এই অঞ্চলগুলিকে লাইভ-ফায়ার জোন হিসাবে ঘোষণা করেছিল। চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, কয়েক ডজন রকেট দ্বীপের উত্তরে সাগরে আঘাত হানে। পিএলএ ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট এবং ফাইটার-বোম্বারও মোতায়েন করেছে। এই ইউনিটগুলো শত্রু বিমান, জাহাজ এবং সাবমেরিনের উপর simulated হামলার অনুশীলন করেছে। জাহাজ ও বিমানকে সাতটি লাইভ-ফায়ার জোন এড়িয়ে চলার জন্য সতর্ক করা হয়েছিল। এই জোনগুলো মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের নৌবাহিনীর ১১টি জাহাজ এবং ৮টি উপকূলরক্ষী জাহাজ তাইওয়ানের উপকূল থেকে ২৪ মাইলের মধ্যে চলে আসে।
এই মহড়া তাৎক্ষণিকভাবে তাইওয়ান এবং আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তাইওয়ান এই মহড়াকে একটি ভীতিকর কাজ হিসেবে নিন্দা করেছে। অন্যান্য দেশ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
চীন তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দেখে। এটি দীর্ঘদিন ধরে মূল ভূখণ্ডের সাথে দ্বীপটিকে প্রয়োজনে বলপূর্বক একীভূত করার অধিকারের কথা বলে আসছে। তাইওয়ান নিজেদের একটি স্বাধীন, স্ব-শাসিত সত্তা হিসেবে মনে করে।
আরও সামরিক মহড়া প্রত্যাশিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সম্ভবত কূটনৈতিক চাপ বাড়াবে। পরিস্থিতি এখনও অত্যন্ত volatile।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment