রাশিয়া মঙ্গলবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা TASS-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বেলারুশে তার ওরেষ্ণিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে, যা মোবাইল সিস্টেমের প্রথম প্রকাশ্য প্রদর্শনী। এই মোতায়েন চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইউরোপে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার রাশিয়ার সক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
ওরেষ্ণিক, যা রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন কর্তৃক শব্দের গতির দশ গুণের বেশি গতি থাকার কারণে "আটকানো অসম্ভব" বলে প্রচার করা হয়েছে, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। বেলারুশে এর মোতায়েন ইউরোপের সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুগুলোর কাছাকাছি এই সিস্টেমটিকে স্থাপন করে। বেলারুশের মধ্যে মোতায়েনের সঠিক স্থান প্রকাশ করা হয়নি।
ওরেষ্ণিকের মতো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলি Mach 5 বা তার বেশি গতিতে ভ্রমণ করে এবং উড়ন্ত অবস্থায় চালচলন করতে পারে, যা বিদ্যমান ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা ট্র্যাক এবং আটকানো কঠিন করে তোলে। এই ক্ষমতা ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা অবকাঠামোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ তৈরি করে, সম্ভাব্যভাবে নতুন পাল্টা ব্যবস্থায় যথেষ্ট বিনিয়োগের প্রয়োজন হতে পারে। ওরেষ্ণিক সিস্টেমটি মোবাইল, যা এর টিকে থাকার ক্ষমতা বাড়ায় এবং এটিকে আগে থেকে লক্ষ্যবস্তু করা কঠিন করে তোলে।
এই পদক্ষেপটি এমন সময়ে এসেছে যখন রাশিয়া এবং বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক এখনও উত্তেজনাকর। এই মোতায়েনকে রাশিয়ার সংকল্পের একটি সংকেত এবং তার সামরিক সক্ষমতার একটি প্রদর্শনী হিসাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করেন ওরেষ্ণিক মোতায়েন সম্ভবত সম্ভাব্য প্রতিপক্ষকে আটকাতে এবং এই অঞ্চলে ক্ষমতা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
ওরেষ্ণিক সিস্টেমটি একটি কৌশলগত অস্ত্র যা দীর্ঘ পরিসরে উচ্চ-মূল্যের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। যদিও প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্যগুলি মূলত শ্রেণীবদ্ধ, তবে এটি একটি স্থল-ভিত্তিক সিস্টেম যা প্রচলিত বা পারমাণবিক ওয়ারহেড সরবরাহ করতে সক্ষম বলে মনে করা হয়। এই মোতায়েন উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং ভুল হিসাবের ঝুঁকির বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ায়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও TASS-এর প্রতিবেদন ছাড়া কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। NATO কর্মকর্তারা মোতায়েনটি স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। ওরেষ্ণিকের সক্ষমতা এবং ইউরোপীয় নিরাপত্তার জন্য এর প্রভাব সম্পর্কে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে আরও বিশ্লেষণ প্রত্যাশিত।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment