সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে চার মাসব্যাপী সামরিক চাপ প্রয়োগের প্রথম মার্কিন স্থল হামলা হিসেবে যা ঘোষণা করেছিলেন, তার প্রায় এক সপ্তাহ পরেও ঘটনাটি ঘিরে বিস্তারিত তথ্য এখনও অপ্রতুল। সিএনএন এবং দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস সোমবারের শেষের দিকে জানিয়েছে, সিআইএ कथितভাবে ড্রোন ব্যবহার করে একটি বন্দরFacility-কে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে, যা নাকি ট্রেন ডি আরাগুয়ার স্ট্রিট গ্যাং ব্যবহার করত।
রিপোর্ট করা ড্রোন হামলাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভেনেজুয়েলার মধ্যে চলমান ছায়া যুদ্ধের একটি নতুন পর্যায়কে চিহ্নিত করে, যেখানে নিকোলাস মাদুরো অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক চাপ বৃদ্ধি সত্ত্বেও ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছেন। কথিত হামলায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও, ঘটনার তারিখ, সময় এবং সঠিক স্থান এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
এই বৃদ্ধি কয়েক মাস ধরে চলা উত্তেজনার ফলস্বরূপ, যেখানে ট্রাম্প প্রশাসন প্রকাশ্যে মাদুরোর সরকারকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে একটি কৌশল অনুসরণ করছে। মার্কিন যুদ্ধখেলায় মাদুরোর পতনের জন্য বিভিন্ন পরিস্থিতি অনুসন্ধান করা হয়েছে বলে জানা গেছে, যার কোনওটিই ভেনেজুয়েলার জন্য ইতিবাচক ফলাফল দেয়নি, এমনটাই simulation-গুলির সাথে পরিচিত সূত্র থেকে জানা যায়।
ভেনেজুয়েলার গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে এই পরিস্থিতি উন্মোচিত হচ্ছে। মাদুরোর সরকার তার মানবাধিকার রেকর্ড, ভিন্নমতের দমন এবং দেশের বিশাল তেল সম্পদের অব্যবস্থাপনার জন্য ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে, যার ফলে হাইপারইনফ্লেশন, মৌলিক পণ্যের ঘাটতি এবং ব্যাপক অভিবাসন দেখা দিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে মাদুরোর বিরুদ্ধে মাদক পাচার এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সমর্থন করার অভিযোগ করে আসছে, মাদুরো দৃঢ়ভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার তেল সম্পদ দখলের জন্য একটি অভ্যুত্থান ঘটাতে চাইছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভেনেজুয়েলার সংকট নিয়ে বিভক্ত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার কিছু মিত্র যেখানে বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদোকে বৈধ রাষ্ট্রপতি হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে, সেখানে রাশিয়া, চীন এবং কিউবার মতো দেশ মাদুরোর সরকারকে সমর্থন করে চলেছে। এই ভূ-রাজনৈতিক বিভাজন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান খোঁজার প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলেছে।
অভিযোগ করা ড্রোন হামলাটি আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং ভেনেজুয়েলার জনগণের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। মার্কিন নীতির সমালোচকরা বলছেন যে সামরিক হস্তক্ষেপ কেবল সাধারণ ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলবে এবং অঞ্চলটিকে আরও অস্থিতিশীল করবে। তবে সমর্থকরা মনে করেন যে দেশে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
মঙ্গলবার পর্যন্ত ভেনেজুয়েলার সরকার কথিত ড্রোন হামলা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। পরিস্থিতি এখনও পরিবর্তনশীল, আগামী দিন এবং সপ্তাহগুলিতে আরও উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মাদুরোর সরকারের মধ্যে ছায়া যুদ্ধ আরও তীব্র হওয়ার সাথে সাথে ভেনেজুয়েলার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment