গাজার বাসিন্দা কাসেম ওয়ালিদের মতে, ২০২৬ সাল শুরু হওয়ার পরেও গাজার জীবন সংঘাতের মধ্যে নিমজ্জিত, এখানকার বাসিন্দারা ক্রমাগত সহিংসতা এবং আন্তর্জাতিক মনোযোগের অভাবের সম্মুখীন হচ্ছেন। ওয়ালিদ, যিনি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে লিখেছেন, গত বছরটিকে ইসরায়েলের কার্যকলাপের কারণে আরও খারাপ হওয়া ক্ষতি, ধ্বংস এবং মৃত্যু দ্বারা চিহ্নিত করেছেন।
ওয়ালিদ বছরের শুরুতে ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা উল্লেখ করে বলেন, পূর্ববর্তী ১৫ মাসের সংঘাতের আঘাত মোকাবেলার জন্য এই স্বল্প বিরতি যথেষ্ট ছিল না। তিনি যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দিদের সাথে সাক্ষাতের কথাও জানান, যারা তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যা তীব্র লড়াই এবং যুদ্ধবিরতির দ্বারা চিহ্নিত। সর্বশেষ সংঘাতটি অক্টোবর ২০২৪-এ শুরু হয়েছিল, যার ফলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং উভয় দিকে উল্লেখযোগ্য প্রাণহানি ঘটে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি বারবার সংঘাতের স্থায়ী সমাধান এবং গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে।
গাজার পরিস্থিতি ইসরায়েলের চলমান অবরোধের কারণে আরও জটিল, যা ভূখণ্ডটির মধ্যে এবং বাইরে মানুষ ও পণ্যের চলাচলকে সীমাবদ্ধ করে। ইসরায়েল মনে করে যে এই অবরোধ নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয়, অন্যদিকে সমালোচকদের যুক্তি হলো এটি গাজার অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষের জীবনের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
নতুন বছর শুরু হওয়ার সাথে সাথে গাজার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত রয়ে গেছে। ওয়ালিদ ২০২৬ সাল কী নিয়ে আসবে সে সম্পর্কে গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন, যা জনগণের মধ্যে থাকা গভীর উদ্বেগ এবং চ্যালেঞ্জগুলোকে তুলে ধরে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের একটি টেকসই সমাধান খুঁজে বের করার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করছে, যাতে এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জন করা যায়।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment