Proceedings of the National Academy of Sciences-এ প্রকাশিত একটি প্রবন্ধ অনুসারে, গবেষকরা ক্রমবর্ধমান স্বৈরাচারিতা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিবর্তনশীল প্রেক্ষাপটে কথা বলা বা নিজেকে চুপ করিয়ে রাখার সিদ্ধান্তের উপর প্রভাব বিস্তারকারী জটিল বিষয়গুলি অনুসন্ধান করেছেন। এই গবেষণাটি মতামত প্রকাশের আকাঙ্ক্ষা এবং সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার ভয়ের মধ্যে ব্যক্তিবিশেষের মধ্যেকার সূক্ষ্ম ভারসাম্য নিয়ে আলোচনা করে।

এই গবেষণাটি রাজনৈতিক মেরুকরণের উপর লেখকদের পূর্ববর্তী কাজের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে, যা সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলির তাদের নিয়ন্ত্রণ নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় সম্পন্ন হয়েছিল। কিছু প্ল্যাটফর্ম মূলত নিয়ন্ত্রণহীন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে, আবার কিছু, যেমন ওয়েইবো, কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। এই বিপরীতধর্মী পদ্ধতিগুলি প্ল্যাটফর্ম শাসনের ব্যবহারকারীর মত প্রকাশের উপর প্রভাব পরীক্ষা করার জন্য একটি বাস্তব প্রেক্ষাপট সরবরাহ করেছে।

স্বৈরাচারী শাসনের উত্থান প্রায়শই ভিন্নমত দমন করে, যা বাক স্বাধীনতাকে একটি প্রধান লক্ষ্যে পরিণত করে। গবেষকরা উল্লেখ করেছেন যে কর্তৃপক্ষের হুমকি যখন একটি নির্দিষ্ট স্তরে পৌঁছায়, তখন ব্যক্তি শাস্তি এড়াতে নিজেদের মতামত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকে। সামাজিক মাধ্যম জনসমক্ষে এবং ব্যক্তিগত আলোচনার মধ্যেকার সীমারেখা অস্পষ্ট করে এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।

নতুন প্রযুক্তি, যেমন ফেসিয়াল রিকগনিশন এবং অত্যাধুনিক মডারেশন অ্যালগরিদম, স্বৈরাচারী শাসকদের বক্তৃতা নিরীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য শক্তিশালী সরঞ্জাম সরবরাহ করে। এই প্রযুক্তিগুলি ভিন্নমত পোষণকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত এবং ট্র্যাক করতে পারে, যা সম্ভাব্যভাবে সেন্সরশিপ বা অন্য কোনও ধরনের শাস্তির দিকে পরিচালিত করতে পারে। এই প্রযুক্তিগুলি মানুষের কথা বলার ইচ্ছাকে কীভাবে প্রভাবিত করে, তা বোঝা দরকার বলে গবেষণাটিতে তুলে ধরা হয়েছে।

প্রবন্ধটিতে নির্দিষ্ট গবেষক বা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়নি। গবেষণাটির নির্দিষ্ট পদ্ধতি এবং ফলাফল সম্পর্কিত আরও বিস্তারিত তথ্য Proceedings of the National Academy of Sciences-এ প্রকাশিত প্রবন্ধে পাওয়া যাবে। এই গবেষণাটির লক্ষ্য ডিজিটাল যুগে বাকস্বাধীনতার গতিশীলতা এবং স্বৈরাচারিতা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির দ্বারা সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে অবদান রাখা।