মালি ও বুরকিনা ফাসো ঘোষণা করেছে যে তারা মার্কিন নাগরিকদের তাদের দেশে প্রবেশে বাধা দেবে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত বিধিনিষেধের অনুরূপ। দুটি পশ্চিম আফ্রিকান দেশ, যাদের সম্প্রতি মার্কিন সরকার সম্পূর্ণরূপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তারা তাদের পদক্ষেপের প্রধান ন্যায্যতা হিসাবে পারস্পরিকতাকে উল্লেখ করেছে।
বুরকিনা ফাসোর পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী কারামোোকো জ্যাঁ-মারি ট্রাওরে বলেছেন, তার সরকার "পারস্পরিকতার নীতি" অনুসরণ করে কাজ করছে। মালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মতের প্রতিধ্বনি করে "পারস্পরিক সম্মান ও সার্বভৌম সমতা"র আহ্বান জানিয়েছে এবং "পূর্ব পরামর্শ ছাড়াই" মার্কিন সিদ্ধান্তের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
মালি ও বুরকিনা ফাসো কর্তৃক উল্লিখিত মার্কিন বিধিনিষেধগুলি সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অধীনে জানুয়ারিতে শুরু হওয়া অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের একটি বৃহত্তর কঠোরতার অংশ। মার্কিন নীতির সুনির্দিষ্ট বিবরণ এবং কোন দেশগুলির উপর প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে তা নির্ধারণের জন্য ব্যবহৃত মানদণ্ড তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
মালি ও বুরকিনা ফাসোর এই সিদ্ধান্ত প্রতিবেশী নাইজারের অনুরূপ ঘোষণার অনুসরণ, যারা মার্কিন নাগরিকদের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তিনটি দেশই বর্তমানে সামরিক জান্তা দ্বারা শাসিত, যারা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। এই দেশগুলো তাদের নিজস্ব আঞ্চলিক জোট গঠন করেছে এবং ঐতিহ্যবাহী পশ্চিমা জোট থেকে সরে যাচ্ছে।
এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলি কূটনৈতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে এবং সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এখনও মালি ও বুরকিনা ফাসো কর্তৃক আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এই পদক্ষেপগুলোর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এখনও দেখার বাকি।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment