জানুয়ারি মাসে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের পর থেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতির উপর প্রভাব ফেলেছে। Fortune-এর বিশ্লেষণ অনুসারে, এটি রেকর্ড $136.4 বিলিয়ন থেকে অর্ধেকে নেমে এসেছে। প্রায় প্রতিটি দেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর দুই অঙ্কের হারে এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা মার্কিন ট্রেজারির জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, একই সাথে বিশ্ব বাণিজ্যকে ব্যাহত করেছে এবং ভোক্তা ও ব্যবসার বাজেটকে কঠিন করে তুলেছে।
ট্রাম্প যুক্তি দিয়েছিলেন যে এই শুল্কগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন এমন সম্পদ পুনরুদ্ধার করার জন্য অপরিহার্য ছিল। এর লক্ষ্য ছিল দেশটির দীর্ঘদিনের বাণিজ্য ঘাটতি কমানো এবং দেশীয় উৎপাদনকে পুনরুজ্জীবিত করা। তবে, এই শুল্ক আরোপের ফলে ক্রমবর্ধমান দামের কারণে পরিবারগুলোর খরচ বেড়েছে। শুল্ক ঘোষণার আকস্মিকতা, স্থগিতাদেশ, পরিবর্তন এবং নতুন শুল্ক প্রবর্তনের কারণে ২০২৫ সালে একটি অস্থির অর্থনৈতিক পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।
কার্যকরী শুল্ক হার, যা মার্কিন ভোক্তা এবং ব্যবসার উপর শুল্কের সামগ্রিক প্রভাব মূল্যায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মেট্রিক, এই অর্থনৈতিক পরিবর্তনের একটি প্রধান সূচক। যদিও হ্রাসকৃত ঘাটতি এবং উৎপন্ন রাজস্বের নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান প্রদত্ত উৎস উপাদানে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়নি, তবে প্রতিবেদনে শুল্কের যথেষ্ট আর্থিক প্রভাবের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের উপর প্রভাব এবং ভোক্তাদের উপর বর্ধিত আর্থিক বোঝার জন্য এই শুল্ক সমালোচিত হয়েছে। ব্যবসায়ীরাও বাণিজ্য নীতির ওঠানামার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সমস্যায় পড়েছেন, যার ফলে বিনিয়োগ এবং উৎপাদন সিদ্ধান্তগুলোতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মার্কিন অর্থনীতি এবং এর বাণিজ্য সম্পর্কের উপর এই শুল্কের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব অর্থনীতিবিদ এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে চলমান বিতর্কের বিষয়।
Discussion
Join the conversation
Be the first to comment